আমার জন্ম —
ভাঙা দেয়ালের ছায়ায়,
যেখানে প্রতিটি ইটের ফাঁকে
চুপ করে থাকে এক অজানা কান্না।
আমি হাঁটি —
মরা ধুলোর বুক চিরে,
কোনো পতাকা ছাড়া,
কোনো ডাক ছাড়া।
আমার হাতে আঁকা ছিল প্রতিশ্রুতি —
জলহীন নদীর মতো শুকিয়ে গেছে,
আমার চোখে লেগে আছে
ভগ্ন শহরের কালো ধোঁয়া।
এই মাটি, এই বাতাস —
চেনে আমার নীরবতার ওজন,
চেনে আমার অস্ফুট উচ্চারণ,
যা কাঁপিয়ে দেয় পোড়া ভোরগুলো।
আমি কোনো বিজয়ীর নাম নই,
আমি কোনো বীরের প্রতিমা নই,
আমি সেই রক্তাক্ত বিকেলের সন্তান,
যে হারিয়ে ফেলে তার জন্মসূত্র।
আজ, যখন পাখিরা ফিরে আসে না,
নদী গান ভুলে গেছে,
আমি কেবল দাঁড়িয়ে থাকি —
ভস্মের বুকে পা রেখে।
আমার নাম নেই,
আমার পরিচয় নেই,
শুধু এক টুকরো নিঃশব্দ আগুন,
যা জ্বলবে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত।